শিরোনামঃ-

» আবদুস সামাদ আজাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: ২৮. এপ্রিল. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ মৃত্যুর ১১ বছর পর সিলেটে এই প্রথম বৃহৎ পরিসরে আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়াতনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভাকে ঘিরে দীর্ঘদিন পর আবার একত্রিত হন সামাদ অনুসারীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

স্মরণসভায় বক্তারা দুঃখ করে বলেন, ‘গত ১১ বছরে অনেক মন্ত্রী-এমপি পেয়েছি, তবে সত্যিকার অর্থে সামাদ আজাদের মতো একজন নেতাও খুঁজে পাইনি।’

তিনি ছিলেন তৃণমূল নেতাকর্মী, সমাজকর্মী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঠিকানা।

বক্তারা বলেন- আবদুস সামাদ আজাদকে শুধু একটি চত্বর ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না।

প্রতিনিয়ত স্মরণ রাখার মতো প্দক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিলেটের সিনিয়র নেতারদের প্রতি অনুরোধ জানান।

আবদুস সামাদ আজাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মুশাহিদ আলী ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন সংসদের আহ্বায়ক সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন- “আবদুস সামাদ আজাদ ছিলেন রাজনৈতিক ময়দানের আধ্যাত্মিক নেতা।

বর্তমানে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। কিন্তু সামাদ আজাদ ১৯৯৭২ সালে মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন- বাংলার মাটিতেই যুদ্ধাপরাধিদের বিচার হবে।”

তিনি বলেন- সামাদ আজাদ বেঁচে থাকলে আমাদের আজকের যে দ্বিধা-বিভক্তি, সেটা থাকতো না।

তাঁর অন্যতম একটা গুণ ছিল। দেশের বড় ধরণের যে কোন সংকট নিরসনে সামাদ আজাদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন- ব্রিটিশরা যখন উপমহাদেশ ছেড়ে গেল, তখন পকিস্তান সৃষ্টি হলো।

পকিস্তানীরা যখন বাংলার মানুষের অধিকার হরন করল, তখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানিদের শোসনের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনের প্রথম সাড়ির নেতা ছিলেন সিলেটের সামাদ আজাদ।

তিনি বলেন- মুজিবনগর সরকার গঠনে খন্দকার মোস্তাক ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খন্দকার মোস্তাকের দেশ বিরোধি কার্যক্রম উপলব্ধি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

কারণ একটা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হচ্ছে বিদেশি সমর্থন আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

তিনি বলেন- আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে যে ওয়াশিংটন বলেছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ হবে দরিদ্রতার মডেল, যে ওয়াশিংটনে বসেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সমর্থন করছে।

এতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা স্মৃতিচারণ করেন।

স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন- ‘আবদুস সামাদ আজাদের সান্নিধ্য আমি খুব একটা পাইনি। কিন্তু নীতি ও আদর্শের বিষয়ে তাঁকে কখনও এক চুল পরিমাণ আপস করতে দেখিনি।’

নেতৃত্ব নির্বাচনে তিনি ছিলেন অ-প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে বলেন- শেখ হাসিনা ১১/১’র সময় বলেছিলেন আজ সামাদ আজাদ বেঁচে থাকলে দেশে এই অবস্থা সৃষ্টি হতো না। রাজনীতিবিদদের গণহারে জেল খাটতে হতো না।

স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, দৈনিক কালেরকণ্ঠের সিলেট ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূর, সাংবাদিক ইকরামুল কবির, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হহক এজাজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা সভাপতি আফসর আজিজ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিটু প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাশুক উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, জাসদের সিলেট জেলা সভাপতি কলন্দর আলী, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিৎ চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ কামাল, অধ্যাপক সুজাত আলী রফিক, মো. সাইফুল আনাম রুহেল, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, রনজিৎ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাছিত, মোস্তাক হোসেন মফুর, ইসতিয়াক আহমদ, আবদাল মিয়া, আসমা কামরান, সুয়েব চৌধুরী, শামছুন নাহার নিলু, আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৯৭ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930