- জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে : সিলেটে তথ্য সচিব
- স্টুডেন্ট হোম ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তির ফল প্রকাশ
- লতিফা-শফি ডিগ্রী কলেজে শফি এ চৌধুরী; এই কলেজ থেকে একদিন ক্ষণজন্মা নারী বেরিয়ে আসুক
- সকল প্রকার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান করুন : বাসদ
- বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে : ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক
- নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে প্রয়োজন আইনের কঠিন প্রয়োগ : মুকতাবিস উন নূর
- আলিফ হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন
- বিএনপি দেশের সর্বস্থরের জনগনকে সাথে নিয়ে এই সরকারের সাথে আছে : কাইয়ুম চৌধুরী
- ঘোপালবাজার মাঠে ৪নং ওয়ার্ডের জনসভায়-খন্দকার মুক্তাদির
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবকে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী
» জুম্মার নামাজের ফজিলত
প্রকাশিত: ২৮. এপ্রিল. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার
সিলেট বাংলা নিউজ ইসলামিক ডেস্কঃ জুম্মার ফজিলত: হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, জুমু’আর দিন সকল দিনের সরদার। আল্লাহর নিকট সকল দিনের চেয়ে মর্যাদাবান। কোরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে বেশী মর্যাদাবান।
আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমরা শেষে এসেছি কিন্তু কেয়ামতের দিন সকলের আগে থাকবো। যদিও অন্য সকল জাতিগুলো (ইহুদী ও খৃষ্টান) কে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আমাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের পরে।
অত:পর জেনে রাখো এই (জুমার) দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পিছনে আছে।
ইহুদীরা জুমার পরের দিন (শনিবার) উদযাপন করে আর খৃষ্টানেরা তার পরের দিন (রবিবার) উদযাপন করে। (বর্ণনায়: বুখারী ও মুসলিম)
আসুন আমরা জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে যাই, আমি আপনি যদি একটু আগে ভাগে মসজিদে যাই তবে এর জন্য অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জুম’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল।
অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল।
অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)
যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম’আর সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার সমান সওয়াব লিখা হয়।
আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আমরা যখন মসজিদে যাই তখন সেখানে ৩ ধরনের মানুষ দেখতে পাই, যা হুজুর (সা:) এর নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়।
(ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না।
(খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না।
(গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার ২ জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও ৩ দিন যোগ করে মোট ১০ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)
জুমু’আর দিনে কিছু করণীয় কাজ নিচে দেয়া হলো:
১। ফজরের আগে গোসল করা।
২। ফজরের ফরজ নামাজ়ে সূরা সাজদা [সিজদা] ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা।
৩। উত্তম পোষাক পরিধান করা।
৪। সুগন্ধি লাগানো।
৫। প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে যাওয়া।
৬। সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা।
৭। মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে ২ রাকা’আত সুন্নত আদায় করা।
৮। ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।
৯। মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শোনা। খুৎবাহ চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের কোন কথা না বলা; এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে কথা বলতে বারণ করাও কথা বলার শামিল।
১০। ২ খুৎবাহর মাঝের সময়ে দু’আ করা।
১১। অন্য সময়ে দু’আ করা। কারণ এদিন দু’আ কবুল হয়।
১৩। রসূলের উপর সারাদিন বেশী বেশী দরূদ পাঠানো।
জুমু’আর দিনের ৫টি বৈশিষ্ট্য:
১। এই দিনে আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২। এই দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আ:)-কে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন।
৩। এই দিনে আদম (আ:) মৃত্যুবরণ করেছেন।
৪। এই দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময়ে হারাম ছাড়া যে কোন জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।
৫। এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। তাই আসমান, যমীন ও আল্লাহর সকল নৈকট্যশীল ফেরেশতা জুমু’আর দিনকে ভয় করে।
আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ আমাদের সকলকে আমাল করার তওফিক দান করুন। আমীন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৬৮ বার
সর্বশেষ খবর
- জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে : সিলেটে তথ্য সচিব
- স্টুডেন্ট হোম ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তির ফল প্রকাশ
- লতিফা-শফি ডিগ্রী কলেজে শফি এ চৌধুরী; এই কলেজ থেকে একদিন ক্ষণজন্মা নারী বেরিয়ে আসুক
- সকল প্রকার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান করুন : বাসদ
- বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে : ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- ২৩শে নভেম্বর সিলেটে জমিয়তের গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
- বড়লেখায় ছাত্র জমিয়তের সিরাত কনফারেন্স ও নাশিদ সন্ধা অনুষ্ঠিত
- রাসুল সা. এর জীবনাদর্শই আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র চাবিকাঠি : জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী
- সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই : পীর সাহেব চরমোনাই
- বর্তমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখে দেশে সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয় : পীর সাহেব চরমোনাই