শিরোনামঃ-

» আগামী অর্থ বছরে ১৫% হারেই ভ্যাটের ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২৮. এপ্রিল. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বহুল আলোচিত ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা কমছে না।

ব্যবসায়ীরা দাবি জানালেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছর ১৫ শতাংশ হার রেখেই ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে তা ভিন্ন ভিন্ন হারে করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী ও রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বড় আকারের বাজেট পরামর্শক সভায় অর্থমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
তবে সব খাতে ১৫ শতাংশ হার রেখে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কঠোর বিরোধিতা করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্যাকেজ প্রথা বাদ দিয়ে কোনভাবেই নতুন আইন বাস্তবায়ন হতে দেব না।
প্রয়োজনে রাজপথে (আন্দোলন) নামব।
প্রতি বছর বাজেটের আগে এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ বড় আকারের সভার আয়োজন করে থাকে। এটি পরামর্শক সভা নামে  পরিচিত।
গতকাল ৩৭তম সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদসহ সভায় বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা খাতভিত্তিক তাদের বিভিন্ন দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন হারে ভ্যাট ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে।
আমাদের দেশেও হতে পারে। আপত্তি নেই। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে একাধিক হার রেখে তা কার্যকর হবে। তবে এবার ১৫ শতাংশ রাখছি। এই হারে কিছুদিন থাকুক।
অবশ্য ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্য সংযোজনের প্রতিটি স্তরে হিসাব রাখার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, হিসাব রাখা আমরা পছন্দ করি না।
কিন্তু হিসাব রাখলে সবার জন্য লাভ। আপনি যতটুকু মূল্য সংযোজন করবেন, কেবল ততটুকুর জন্যই ভ্যাট দেবেন।
এর আগে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভ্যাট আইনের বিতর্ক নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী।
ভ্যাট আইনের বিতর্ক নিরসনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে বড় একটি ফোরামে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট আলোচনায় এফবিসিসিআই সভাপতি ভ্যাট আইন নিয়ে সরকার গঠিত কমিটির সুপারিশের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।
সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন হারে ভ্যাট কার্যকরের সুপারিশ করে।
এছাড়া প্যাকেজ পদ্ধতি রাখাসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে তাদের সুপারিশ থাকলেও কার্যত সরকার তা গ্রহণ করেনি।
আগামী জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। থাকছে না কোন ধরনের প্যাকেজ পদ্ধতির ভ্যাট।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, প্যাকেজ প্রথা বাদ দিয়ে আইন কার্যকর করলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সমর্থন দেবেন না।
তারা প্রয়োজনে রাজপথে নামবে। রাস্তায় নামার জন্য ব্যবসায়ীরা স্বোচ্ছার হয়ে আছেন।
প্যাকেজ বাদ দিয়ে কোনভাবে নতুন আইন বাস্তবায়ন হতে দেব না।
এ সময় এনবিআর কর্মকর্তাদের হাতে ব্যবসায়ীদের হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এভাবে তো ‘পার্টনারশিপ’ হতে পারে না।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৭২ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930