শিরোনামঃ-

» যুক্তরাষ্ট্রে নিহত বাংলাদেশি দম্পতির ২ ছেলে কারাগারে

প্রকাশিত: ২৯. এপ্রিল. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দম্পতি গোলাম রাব্বি ও শামীমা রাব্বির ২ ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে শহরে এই দম্পতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের হত্যাকারী এখনও সনাক্ত না হলেও, সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের ২ ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

দুজনকেই এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও ছোট ভাই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে রাখা হয়েছে কিশোর সংশোধনাগারে।

সান হোসে পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী বড় ভাই হাসিব বিন গোলাম রাব্বি এবং তার ১৭ বছর বয়েসী ছোট ভাইকে জামিনঅযোগ্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রাব্বি দম্পতির লাশ যখন পাওয়া যায়, তখন থেকেই তাদের ২ ছেলে নিখোঁজ ছিলেন।

ঘটনার ২ দিন পর ২৬ এপ্রিল প্রথমে ছোট ছেলের সন্ধান পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড় ছেলে হাসিবকে বুধবার সন্ধ্যায় ট্র্যাসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সান হোসে পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট এনরিক গার্সিয়া বলেন, “ওই দম্পতিকে কয়দিন আগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।”

স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা জানান, সান্তা ক্লারা সিটির মুসলিম কম্যুনিটি অ্যাসোসিয়েশনে শুক্রবার জুমার পর (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত আড়াইটা) রাব্বি দম্পতির জানাজা হবে।

তাদের দাফন করা হবে পাশের লিভারমোর সিটির ‘ফাইভ পিলার ফার্ম’ কবরস্থানে।

কারাবন্দি ২ ছেলেকেও প্যারোলে বাবা-মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন এ পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা।

পেশায় প্রকৌশলী গোলাম রাব্বি (৫৯) এবং হিসাবরক্ষক শামিমা সান হোসের (৫৭) এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

বগুড়ার সন্তান গোলাম রাব্বি ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারী ‘এমদাদ অ্যান্ড সিতারা খান ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারপারসন সিতারা খানের ছোট ভাই গোলাম রাব্বি।

৯ বোন এবং ২ ভাইয়ের মধ্যে গোলাম রাব্বি ছিলেন পঞ্চম। তার ৩ বোন মারা গেছেন। ৪ বোন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন। জীবিত একমাত্র ভাই রয়েছেন বাংলাদেশে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রোববার বিকালে তার কয়েকজন বন্ধু সান হোসের বাড়িতে যান।

সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা পান এবং লন্ড্রি রুমে কাঠের মেঝের ওপর দু’জনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন।

সেখানে একটি চিরকূট পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’

এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দেওয়ালে লেখা আরেকটি বার্তা দেখতে পান।

সেখালে লেখা ছিল- ‘তোমার মতো আমি মিথ্যাবাদী হতে পারব না। আমি ওদের (মা-বাবা) অজ্ঞাতে অথবা সম্মতি ব্যতিত কাউকে ভালবাসতে পারব না।’

কেন তাদের হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশের তদন্তের বিস্তারিত তথ্যও পুলিশের পক্ষে থেকে প্রকাশ করা হয়নি।

গোলাম রাব্বির সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয় ১৯৮২ সালে। বিয়ের পর স্ত্রীকেও বগুড়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান রাব্বি। সেখানেই তাদের ২ ছেলের জন্ম।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫১১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930