শিরোনামঃ-

» ৭৫ বছরে বয়সেও নিজের ছেলের চেয়ে তরুণ!

প্রকাশিত: ০১. মে. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বাবার বয়স ৭৫ বছর। ছেলের ৪৮ বছর। দু’জন পাশাপাশি হাঁটছেন। তাদের দেখে আপনি চিনতে পারবেন না কে বাবা কে ছেলে।

কারণ, ছেলের চেয়েও বাবাকে তরুণ দেখায়। ছেলের চুলে ইতিমধ্যেই পাক ধরেছে, তবে বাবার চুল ঘনকালো। ছেলের শরীরে মেদ জমেছে।

বাবার সুঠাম শরীর। কোনোভাবেই তাকে ছেলের চেয়ে বেশি বয়সী মনে হবে না। ত্বকে নেই বয়সের ছাপ। যেন মাঝ বয়সী বলিষ্ঠ পুরুষ। কিন্তু বয়সের হিসেবে পৌঁছে গেছেন পৌঢ়ত্বে।

•    ৭৫ বছরে ছেলের চেয়ে তরুণ বিটলের গায়ক রিংগো স্টার।

•    সম্প্রতি তার ৭৫তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে।

•    তিনি একদিনে ১৬ বোতল মদ পান করেছিলেন।

•    তিনি কোকেনও সেবন করতেন।

•    তার খাদ্য তালিকায় থাকতো ব্রকলি, গাজর ও অলিভ ওয়েল।

বিখ্যাত ব্যান্ডদল বিটলসের গায়ক রিংগো স্টার ৭৫ বছর বয়সে দারুণভাবে তার যৌবন ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি তার ৭৫তম জন্ম দিন পালন করেছেন।

34৭৫ বছর বয়সে তরুণ থাকার খবরে ভাবছেন রিংগো দারুণ স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। তবে তার জীবনী ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি মোটেও স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন না। তিনি পুরোদস্তুর মদ্যপ।

এক দিনে ১৬ বোতল ওয়াইন পান করারও রেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে। তিনি দিনে এক গ্রাম কোকেন সেবন করতেন।

এক দিনে রিংগো মদ্যপ আর কোকেন সেবক। অন্য দিকে খাবার খেতেন খুব বেছে বেছে। রিংগো বলেন, ‘বাইরে কাজ করতাম আর গাজর খেতাম।

ব্রকলি ছিল প্রধান খাবার। অলিফ ওয়েল দিয়ে রান্না করা খাবার খেতাম। বাটার আর বেকড পটেটো পরিহার করতাম।’

রিংগো জন্ম গ্রহণ করেন লিভারপুলে। তার পরিবার স্বচ্ছল ছিল না। তিনি ইংল্যান্ড থেকে চলে যান আমেরিকায়। ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবেশের সঙ্গে তার শরীর বেশ মানিয়ে নেয়।

তার জীবনের সবচেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে বারবারা বাচ এর সঙ্গে বিয়ের মাধ্যমে। বারবারার আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছিলেন।

সেই বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াতে তার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। বারবারা ও কোকেন সেবন করতেন। বারবারাকে বিয়ের পর দু’জনেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।

বারবারাও রিংগোর মতো লাস্যময়ী। ৬৮ বছর বয়সেও তাকে আকর্ষণীয় দেখায়। বারবারা ২ সন্তান নিয়ে প্রথম স্বামীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্ত হন।

35ফার্স কেভম্যান সিনেমায় অভিনয় করার সময় রিংগোর সঙ্গে বারবারার পরিচয় হয়। রিংগো অভিনেত্রী ও মডেল বারবারার দিক থেকে নজর ফেরাতে পারেনি।

বারবারার গভীর প্রেমে পড়ে যান রিংগো। ‘রিংগো বলেন, প্রত্যেকটি  মুহূর্ত আমি বারবারার সঙ্গে কাটাতে চাই।’

১৯৮১ সালে বিয়ের সময় বারবারা বলেন, ‘আমি একটি মানুষকে ভালোবাসি। আর সে হলো রিংগো।’

বারবারাকে বিয়ের পরে রিংগোর অ্যালবাম হিট করেনি। আবার শুরু হয় তার বেপরোয়া জীবনযাপন।

সেই সময়টাতেই একদিনে ১৬ বোতল মদ খেয়েছিলেন রিংগো। তারা দু’জনেই নিয়মিত মদ খেতেন। আর ২ জনেই কোকেন সেবন করতেন।

রিংগো বলেন, ‘আমরা বিমানে করে অনেক দূরে ভ্রমণে যেতাম। বিশাল বাড়ি ভাড়া নিতাম। বারের মধ্যে মদে বুঁদ হয়ে থাকতাম। এভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ি।’

১৯৯৮ সালের এক শুক্রবার বিকালে রিংগো বাড়ির স্টাফদের বলেন, তারা বাড়িটি ডাস্টবিন বানিয়ে রেখেছে। বারাবারা মারা যাচ্ছে।

তারপর তারা একটি রিহ্যাবে ভর্তি হন। সেখানে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই থেকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন শুরু করেছেন। এখনো সেভাবেই চলছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৯৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930