শিরোনামঃ-

» ‘পুলিশ’, ‘সাংবাদিক’, ‘আইনজীবী’ স্টিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৫. মে. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ যানবাহনে পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার নাম উল্লেখ করে ‘আলগা স্টিকার’ ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহার করলে স্টিকার ব্যবহারকারী গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল বুধবার এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যানবাহনে ‘পুলিশ’, ‘সাংবাদিক’, ‘চিকিৎসক’, ‘সিটি করপোরেশন’, ‘আইনজীবী’ ইত্যাদি লেখা দেখা যায়। এ ধরনের আলগা স্টিকার সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করে অপরাধ করতে পারে। অনেকে এই স্টিকার ব্যবহার করে উল্টো পথে সহজে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন।

পুলিশের সব ধরনের যানবাহনসহ পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িতে ‘পুলিশ’ বা ‘ডিএমপি’ লেখা স্টিকার ব্যবহার না করার জন্য ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ ধরনের স্টিকার ব্যবহারকারী গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নাম যানবাহনের ওপর লিখে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি।

সাংসদ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ৫ ধরনের নতুন স্টিকার গাড়িতে ব্যবহার করতে হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, পুরোনো স্টিকারের পরিবর্তে সাংসদ ও তাঁদের পরিবারের জন্য ব্যবহৃত গাড়িতে ২ ধরনের এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩ ধরনের স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।

যানবাহনে হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যানবাহনে হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহার করার বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এ ধরনের হর্ন ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহারের বিরুদ্ধে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে ৪০৭টি মামলা ও ব্যবহৃত হাইড্রলিক হর্নগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়িতে হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’

রাজধানীতে উল্টো পথে যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘উল্টো পথে যেসব যানবাহন চলে, এগুলোর বড় অংশ সমাজের কর্তাব্যক্তিদের গাড়ি। আমরা ট্রাফিক আইন মানতে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছি।’

রাস্তায় চলাচলের সময় পথচারী ও চালকদের মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা ঘটে থাকে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে যানজট সৃষ্টিসহ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

২৪ এপ্রিল থেকে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন, মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি আরোহী ওঠা, হেলমেটবিহীন, উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে ২মে পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৫১টি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য যানবাহনের বিরুদ্ধে ২১ হাজার ৪১৫টি মামলা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত আছে। এ ছাড়া রিকশামুক্ত রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৬৪ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930