শিরোনামঃ-

» সময়সীমার মধ্যে সিম নিবন্ধিত না করলে পরে ঐ সিম আবার কিনতে হবে

প্রকাশিত: ০৯. মে. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ প্রযুক্তি ডেস্কঃ আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে ৩১ মের মধ্যে যেসব সিম নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো ১ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করতে হলে ব্যবহারকারীকে সেটি নতুন করে কিনতে হবে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির গত বছরের মার্চের এক নির্দেশনা অনুযায়ী কোন সিম বন্ধ হয়ে গেলে সেই সিম ১৫ মাসের জন্য সংরক্ষিত থাকে।

এরপর আর মালিকানা দাবির সুযোগ থাকে না। সেই নিয়ম অনুযায়ী মে মাসের পর বন্ধ হওয়া সিম পুনরায় কিনে সচল করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।

১৫ মাস সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর আরও ৩ মাস সময় থাকে, যে সময়ে সংশ্লিষ্ট মুঠোফোন অপারেটর গ্রাহকের কাছে জানতে চায় তিনি সিমটি চালু করতে আগ্রহী কি না।

এভাবে ১৮ মাসেও যদি একজন ব্যবহারকারী যদি সিমটি চালু না করেন, তাহলে ওই নম্বরটি মুঠোফোন অপারেটররা আবার বিক্রি করতে পারে।

১ জুন থেকে যেসব অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে যাবে, সেগুলো নতুন করে কেনার ক্ষেত্রে আগের ব্যবহারকারী অগ্রাধিকার পাবেন।

অর্থাৎ এত দিন যে ব্যক্তি সিমটি ব্যবহার করেছেন, তিনি সবার আগে সিমটি কিনতে পারবেন। আর এ ক্ষেত্রে নতুন সিম কিনতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেগুলো প্রযোজ্য হবে।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সিম কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও গ্রাহকের আঙুলের ছাপ লাগে। আর আগে কেনা সিমের পুন:র্নিবন্ধনের জন্য এ সবকিছুর সঙ্গে চালু থাকা সিমটিও নিয়ে যেতে হয়।

সিম নিবন্ধনের অগ্রগতি–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চলমান সিম নিবন্ধনের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আজ রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের ঘোষিত সময়সীমার শেষ দিন গত ৩০ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে সময়সীমা ১ মাস বৃদ্ধির ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সিম নিবন্ধনের সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। এ সময়ের মধ্যে যাতে সব সিম নিবন্ধিত হয়ে যায়, সে জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিতে অপারেটররা বিনা মূল্যের ইন্টারনেট ডাটা, টকটাইমের মতো পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব উদ্যোগে কমিশনের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১০ লাখের বেশি। গত ৩০ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত যা ছিল ৮ কোটি ৯০ লাখ।

অর্থাৎ সময় বাড়ানোর পর ১ সপ্তাহে সব অপারেটর মিলে ১০ লাখের কিছু বেশি সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বিটিআরসির হিসাবে বর্তমানে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ।

তারানা হালিম জানিয়েছেন, ৩১ মে রাত ১২টার পর যে সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে পরবর্তী ১৫ মাসের জন্য সেগুলোর বিক্রি স্থগিত থাকবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৬০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930